For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

পশুর হাটে ক্রেতা কম-ভিড় বেশি

Published : Sunday, 9 June, 2024 at 8:22 PM Count : 134

ঘনিয়ে আসছে ঈদুল আজহা। গাইবান্ধায় জমে ওঠছে কোরবানির পশুরহাটগুলো। দেখা গেছে উপচেপড়া ভিড়। তবে সব মানুষই ক্রেতা নয়। কেউ হাটে এসেছেন উৎসুক জনতা হিসেবে। একজন ক্রেতার পছন্দের গরু কিনতে সঙ্গে আছেন আরও ৫-৬ জন। একইভাবে এক বিক্রেতার সঙ্গেও একাধিক ব্যক্তির পদচারণ। সেই সঙ্গে চোখে পড়ার মতো দালালের দৌরাত্ম। সবমিলে পশুর হাটে ভিড় বাড়লেও তুলনামূলক এখনও বাড়েনি বেচা-কেনা।  

সম্প্রতি গাইবান্ধা জেলার দারিয়াপুর পশুর হাটসহ আরও বেশ কিছু হাটে দেখা গেছে- এমন দৃশ্য। দূর থেকে দেখলে মনে হয় জমে ওঠেছে পশুর হাট। কিন্তু হাটের ভেতর স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে দেখা যায় আরেক চিত্র। এখানে ক্রেতা-বিক্রেতার চেয়ে তিনগুণ মানুষের অবাধ বিচরণ। এমন বিচরণের কারণে সুযোগ নিচ্ছে সংঘবদ্ধ একটি দালাল চক্র। যার ফলে ঠকছেন ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ে। একই সঙ্গে অতিরিক্ত ইজারা নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। 

গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ সূত্রে জানা যায়, এ বছর কোরবানি উপলক্ষ্যে জেলায় ১৬ হাজার ৭৫৯ খামারে এক লাখ ৪৫ হাজার ৩৮১ কোরবানিযোগ্য পশু মজুত রয়েছে। এর মধ্যে গরু ৬৩ হাজার ২৪৬, মহিষ ১৪৭ ও ছাগল-ভেরা ৮১ হাজার ৯৮৮টি। আর জেলায় চাহিদা রয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৫১ কোরবানি পশু। এসব প্রাণি বিক্রির জন্য জেলায় ৪১টি পশুর হাট নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬টি স্থায়ী ও ১৫টি অস্থায়ী হাট রয়েছে। এছাড়া অনলাইনের মাধ্যমে আরও ৭টি প্ল্যাটফর্মে পশু কেনা-বেচা হচ্ছে।

এদিকে, প্রতিহাটে দালাল ও ফড়িয়া মধ্যস্বত্বভোগীদের কারণে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ে ঠকবার শঙ্কায় ভুগছেন। হাটে আসা দালালরা মালিকদের সঙ্গে রফাদফা করে পশু হাতে নেন। ওই দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রিত টাকা দালালদের পকেটে ঢুকছে বলে একাধিক ব্যক্তির অভিযোগ। 
বর্তমানে জেলার নিয়মিত এবং মৌসুমী হাটগুলোতে দেশি-বিদেশি, ছোট-বড় গরু-ছাগল আমদানী ও বেচা-কেনা হচ্ছে। বছরব্যাপী গরু পালনকারী খামারীরা এসব হাটে কোরবানির পশু বিক্রি শুরু করছেন। ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ও আর্থিকভাবে সচ্ছল ব্যক্তিরা কোরবানির জন্য গরু-ছাগল ক্রয় করতে হাট-বাজারগুলোতে আসছেন। তবে এখনো জমেনি কেনা-বেচা।
 
দারিয়াপুর হাটে আসা ক্রেতা জাকির হোসেন ও বিক্রেতা খাইরুল ইসলাম বলেন, হাটে আসার সাথেই দালালদের সঙ্গে রফাদফা ছাড়া পশু বেচা-কেনা করা সম্ভব নয়। তাই তাদের কমিশন দিয়েই গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে হয়। 

ভরতখালি হাটের আসা জামিউল আহসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, এবার আমার কোরবানি দেবার সামর্থ নেই। তাই ঈদের আমেজ হিসেবে পশুর হাট দেখতে আমরা কয়েকজন এসেছি।   

সাদুল্লাপুর হাটের বিক্রেতার নীল মিয়া জানান, তার খামারের একটি গরু বিক্রি করতে হাটে এসেছেন। দালালের হাত থেকে রেহাই পেতে সঙ্গে নিয়েছেন আরও ৪ জনকে। কিন্তু গরুর দাম সন্তোষজনক না হওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়ছেন তিনি। 
 
লক্ষীপুরহাটের ক্রেতা বদরুল প্রামানিক বলেন, এর আগের বছরগুলোতে আমি একাই একটি গরু কোরবানি দিয়েছিলাম। কিন্তু এবার তা ব্যর্তয় ঘটছে। ইদানিং নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় সংসার চালাতে হিমসিম খাচ্ছি। তাই আর্থিক সংকটের কারণে এ বছর ৭ জনের সমন্বয়ে (যৌথভাবে) একটি গরু কেনার জন্য হাটে এসেছি। আমরা সবাই গরুর দাম হাঁকাচ্ছি। তবে গরুর দাম ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রয়েছে।  
 
গাইবান্ধা জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মাহফুজার রহমান জানান, এ জেলায় চাহিদা পুরণ রেখেও অতিরিক্ত ২২ হাজার ৩৩০টি কোরবানি পশু মজুদ আছে। আশা করছি, স্থানীয় চাহিদা মিটিয়েও দেশের বিভিন্ন জায়গায় কোরবানি পশুর চাহিদা পূরণে সহায়ক ভূমিক রাখবে। ইতোমধ্যে বিক্রয়যোগ্য হাটগুলোতে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ২১টি মেডিকেল দল কাজ করছে।   

টিএইচজে/এসআর
  


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,