ফেনীতে মসলার দাম বেড়েছে
Published : Sunday, 9 June, 2024 at 10:51 AM Count : 87
ফেনীতে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে সব ধরনের মসলার দাম। প্রস্তাবিত বাজেটে মসলা পণ্যে ১ শতাংশ উৎস কর কমানো হয়েছে। যেখানে আগে ২ শতাংশ ছিল। তবুও এর প্রভাব পড়েনি ফেনীর বাজারে। বরং দাম আরও বেড়েছে।
বাজার নিয়ন্ত্রণে ভোক্তা অধিদপ্তর কিংবা প্রশাসনের মনিটরিং দাবি করছেন সাধারণ ক্রেতারা।
এদিকে বিক্রেতারা বলছেন, বেশি দামে আমদানি করতে হয়। পাইকারিতে বেশি দামে কেনার কারণে ভোক্তা পর্যায়ে ক্রেতার কাছে কম দামে বিক্রির সুযোগ নেই।
ফেনীর বড় বাজারে ভারতীয় জিরা বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকা, যেটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০০ টাকা। টার্কিশ জিরা বিক্রি হচ্ছে ৯০০ টাকা। এলাচ বিক্রি হচ্ছে ৩ হাজার ৭০০ টাকা, যেটি গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩ হাজার ৪০০ টাকা। দারুচিনি বিক্রি হচ্ছে ৫৫০ টাকা, যা গেল সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৫০০ টাকা, লবঙ্গ বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬৫০ থেকে ১ হাজার ৭০০ টাকায়, যার দাম বেড়েছে প্রায় ১৫০ টাকা। পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকা, যা গেল সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা। রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকা, যা গেল সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকা। আদা বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা, এখানেও দাম বেড়েছে ২৫ টাকা। বেড়েছে হলুদ, মরিচ, ধনিয়াসহ বাকি মসলার দামও।
কবির আহম্মেদ নামে এক বিক্রেতা বলেন, বেশি দাম আমদানি করায় ব্যবসায়ীরা বাড়তি দামে পাইকারিতে কিনছেন। এর ফলে খুচরা পর্যায়েও বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।
আফসার উদ্দিন নামে এক ক্রেতা বলেন, আমদানির দোহাই দিয়ে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে। ঈদকে কেন্দ্র করে সুপরিকল্পিত ভাবে মসলার দাম বাড়াচ্ছেন তারা। ভোক্তা অধিদপ্তর কিংবা প্রশাসন যদি অভিযান চালায় তাহলে বাজারে প্রভাব পড়বে।
-এমএ