কনস্টেবল নিহতের ঘটনায় যা বললেন আইজিপি
Published : Sunday, 9 June, 2024 at 10:34 AM Count : 95
রাজধানীর বারিধারা কূটনীতিক এলাকায় অবস্থিত ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে মনিরুল ইসলাম নামের পুলিশের এক কনস্টেবলকে গুলি করে হত্যা করেন আরেক কনস্টেবল কাউসার আহমেদ। কাউসার কী কারণে মনিরুলকে হত্যা করেছেন তা জানতে পুলিশ তদন্ত করছে বলে জানিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
শনিবার দিবাগত রাত ২টা ৩০ মিনিটে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আইজিপি বলেন, ‘রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে ফিলিস্তিনি দূতাবাসের সামনে আমাদের দু'জন কনস্টেবল ডিউটিরত ছিলেন। তাদের মধ্যে কনস্টেবল কাউসার আলীর গুলিতে কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ঘটনাস্থলে মারা যান। এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। তিনি এখন ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।’
গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেনের তিন রাউন্ড গুলি লাগে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আক্রমণকারী কনস্টেবলকে থানায় নেওয়া হয়েছে এবং তাকে নিরস্ত্র করা হয়েছে। আমরা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। মনিরুল ইসলামের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে কিছু গুলির খোসা ও ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত করছি। প্রয়োজনে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এক প্রশ্নের জবাবে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘ঘটনার কারণ জানতে আমরা কনস্টেবল কাউসারকে জিজ্ঞাসাবাদ করবো। ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন করবো। প্রকৃত রহস্য জানাটা খুব কঠিন হবে না।’
দূতাবাস এলাকা খুবই সুরক্ষিত এলাকা। এ ধরনের ঘটনা আইনশৃঙ্খলার দুর্বলতা প্রকাশ পায় কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ঘটনাস্থলে আমাদের লোক ছিল। ঘটনা যে ঘটিয়েছে সেও আমাদের লোক। আসলে ঘটনাটা কী কারণে ঘটেছে সেটা আমরা জানার চেষ্টা করছি।’
কাউসারকে কীভাবে আটক করা হয় জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘ঘটনার পর কাউসার তার অস্ত্রটা রেখে ঘটনাস্থলে আশপাশে ঘোরাফেরা করছিলেন। তখন তাকে আটক করা হয়।’
জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক কীভাবে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, তিনি পথচারী হিসেবে যাচ্ছিলেন। এ সময় গুলিবিদ্ধ হন।
কূটনীতিক এলাকায় একজন কনস্টেবলকে দিনে ১৬ ঘণ্টা ডিউটি করতে হয়। এই ডিউটি করার কারণে অনেকে মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হচ্ছেন কি না, বা কাউসার মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত ছিল কি না জানতে চাইলে পুলিশপ্রধান বলেন, ‘সবগুলো বিষয়ে আমরা তদন্ত করবো।’
এ সময় ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানসহ পুলিশ সদর দপ্তর ও ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
-এমএ