ব্যাংক থেকে সরকারের ঋণগ্রহণ, বেসরকারি খাতে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে
Published : Saturday, 8 June, 2024 at 4:39 PM Count : 150
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন ফেডারেশন অব বাংলাদেশ চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেছেন, ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিকমাত্রায় সরকারের ঋণ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। এর ফলে বিনিয়োগে ও কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পরতে পারে।
শনিবার প্রস্তাবিত বাজেট ২০২৪-২৫ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে ঘাটতি দুই লাখ ৫৬ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। যদিও চলতি অর্থবছরের বাজেটে ঘাটতি রাখা ছিল ৫ দশমিক ২ শতাংশ।
তিনি বলেন, ঘাটতি মেটাতে সরকারকে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার ৯০০ কোটি টাকা নিতে হবে। এর মধ্যে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে নিতে হবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। সেই সঙ্গে সরকারকে সুদের বোঝা টানতে হচ্ছে। ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে অধিক মাত্রায় সরকারের ঋণগ্রহণ বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবাহে বাধা সৃষ্টি করে। ফলে বিনিয়োগ ও কর্মসংস্থানে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে।
তিনি আরও বলেন, বাজেট ঘাটতি মেটাতে স্থানীয় ব্যাংক ব্যবস্থার পরিবর্তে যথাসম্ভব সুলভ সুদে ও সতর্কতার সঙ্গে বৈদেশিক উৎস হতে অর্থায়নের জন্য নজর বাজেটে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের (সোশ্যাল সেফটি নেট) আওতা বাড়ানাে হয়েছে। এসব উদ্যোগ সামাজিক নিরাপত্তা সুসংহত এবং সামাজিক অর্থনীতিতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে বলে আমরা মনে করি। তবে প্রকৃত সুবিধাভোেগীদের কাছে যাতে এ সুবিধা যথাযথ ভাবে পৌঁছায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
মাহবুবুল আলম বলেন, লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী রাজস্ব আদায়ে ব্যবসা-বাণিজ্যবান্ধব রাজস্ব ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সংস্কার জরুরি। সেই সঙ্গে ট্যাক্স-জিডিপি রেশিও বাড়ানোর করের আওতা বাড়ানো এবং উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস বিস্তৃত করা প্রয়োজন। এ বিষয়ে জাতীয় বাজেট পরামর্শক কমিটির সভায় সরকারের কাছে আমরা বিস্তারিত প্রস্তাবনা তুলে ধরেছিলাম।
এ সময় মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি কামরান টি রহমান, ঢাকা চেম্বার সভাপতি আশরাফ আহমেদসহ এফবিসিসিআইর পরিচালনা পর্ষদের সদস্য ও ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
-এমএ