For English Version
সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪
হোম

বাউফলে সড়কের নির্মাণকাজে ধীরগতি: ভোগান্তিতে হাজারো মানুষ

Published : Monday, 18 March, 2024 at 9:12 PM Count : 433

পটুয়াখালীবাউফল উপজেলার নাজিরপুর-তাতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের সঙ্গে উপজেলার সদরের য়োগাযোগের প্রধান সড়কের নির্মাণ কাজে ধীরগতি ও নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এক বছরেরও বেশি সময় ধরে সড়কে খোয়া ফেলে রাখায় চরম ভোগান্তিতে রয়েছেন ওই ইউনিয়নের হাজারো মানুষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঘূর্ণিঝড় আম্পান ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ পল্লী সড়ক অবকাঠামো পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় এলজিইডি ২০২২-২০২৩ইং অর্থ বছরে দরপত্রের মাধ্যমে দুই কিলোমিটার সড়কের কাজের দায়িত্ব দেন পটুয়াখালীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সেতারা এন্টারপ্রাইজকে। কাজের মূল্য নির্ধারন করা হয়েছে ৯২ লাখ ৪ হাজার ৩৭৫ টাকা। ওই অর্থ বছরের ডিসেম্বর মাসের মধ্যে কাজ শেষ করার কথা। 

কিন্তু সোমবার দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় কার্পেটিং উঠে মাটি বের হয়ে আছে। এরই মধ্যে ইটের খোয়া বিছিয়ে রাখা হয়েছে। মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন ওই সড়ক দিয়ে যাওয়ার সময় ধুলোয় সব লালচে হয়ে যায়। আশপাশের গাছপালাও লালচে হয়ে গেছে। সড়কটির এক পাশ থেকে আরেক পাশে পানি নামার জন্য মোল্লা বাড়ি ও দেওয়ান বাড়ির মাঝখানে একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হয়েছে। নির্মাণের ছয় মাস যেতে না যেতেই কালভার্টটির মাঝখানের ঢালাইয়ের পাথর উঠে যাচ্ছে। নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ও সিমেন্টের পরিমান কম দেওয়ায় এমনটি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আবুল বশার নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা। 
সড়কটির পাশে রয়েছে নাজিরপুর ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমমিক বিদ্যালয়, নাজিরপুর ছোট ডালিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানদী কামিল মাদ্রাসা, ধানদী নুরানী মাদ্রাসা ও ধানদী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ধানদী বাজার। প্রতিদিন ওই সড়কটি দিয়ে পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ তিন হাজারেরও বেশি মানুষ যাতায়াত করে। দীর্ঘদিন খোয়া ফেলে রাখায় ওই প্রতিষ্ঠান গুলোর শিক্ষার্থীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। 

নাজিরপুর ছোট ডালিমা সরকারি প্রাথমমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোসা. নাজমা বেগম বলেন, সড়কের পাশেই তাঁর বিদ্যালয়টি। খোয়ার ধুলার কারণে শ্রেণিকক্ষে শিশু শিক্ষার্থীদের পাঠদান বিঘ্নিত হচ্ছে। এ কারণে পানি ছিটিয়ে পাঠদান করাতে হচ্ছে। 

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান বলেন, নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ সঠিক না। একটু আর্থিক সমস্যার কারণে কাজটি শেষ করতে বিলম্ব হয়েছে। আগামি এক সপ্তাহের মধ্যে কাজ শুরু এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করা হবে। 

উপজেলা প্রকৌশলী মো. মানিক হোসেন বলেন,‘তিনি সদ্য যোগদান করেছেন। বিষয়টি তার জানা নেই। আজকেই ঠিকাদারকে লিখিতভাবে দ্রুত কাজ শেষ করার তাগিদ দেওয়া হবে। এর ব্যতয় হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এএস/এসআর


« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,   [ABOUT US]     [CONTACT US]   [AD RATE]   Developed & Maintenance by i2soft