For English Version
রবিবার ৬ অক্টোবর ২০২৪
হোম

বড় বড় নৌকা চলা নদীতে চাষ হচ্ছে ধান-গম

Published : Saturday, 9 March, 2024 at 12:08 PM Count : 313

যে নদীতে এক সময় চাঁচকৈড়, গুরুদাসপুর, সিংড়া, নগরবাড়ী, আত্রাইসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে এক হাজার মণ মালামাল নিয়ে বড় বড় নৌকা চলত সেই নদীর বুকেই এখন হচ্ছে ধান-গমের চাষ। একটা সময় ছিল বগুড়ানন্দীগ্রামে নাগর নদীতে সারা বছর পানিতে টইটুম্বুর থাকত। কালের বির্বতনে নাগর নদী এখন কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। 

স্থানীয়দের দাবি, অবৈধ ভাবে নদীর পাড় দখল, বালু উত্তোলন, নদীর মধ্যে বাঁধ দেওয়া ও দীর্ঘদিন খনন না করায় নাগর নদীর আজ বেহাল অবস্থা।

নাগর নদী বগুড়া জেলার অন্যতম করতোয়ার শাখা নদী। এই নদী বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার জগদীশপুরে নিকট করতোয়া নদী থেকে বের হয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলার নাগরকান্দি-গুলিয়া সীমানা বরাবর প্রবাহিত হয়ে নাটোরের সিংড়া উপজেলার সিংড়ার দমদমা ব্রিজের নিকট আত্রাই নদীতে পড়েছে।

সরেজমিনে উপজেলার ভাটরা ইউনিয়নের গুলিয়া নাগর নদী পাড়ে গিয়ে দেখা যায়, দক্ষিণ দিকে আঁকাবাঁকা হয়ে বয়ে গেছে নদীটি। নদীর দু-একটি জায়গায় হাঁটু পানি থাকলেও বেশির ভাগ জায়গায় স্থানীয়রা ধান, গম ও আলুসহ নানা ধরনের চাষবাদ করেছে। নদীর দু-পাড় কেটে কৃষি কাজের উপযোগী করেছে স্থানীয় কৃষকরা। 
কথা হয় গুলিয়া বাজারের ব্যবসায়ী পারশুন গ্রামের আনিছার রহমানের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমি এই নদীতে নৌকা বেয়েছি। সে সময় সারা বছর নদীতে পানি থাকত। বড় বড় নৌকা নিয়ে আসত ব্যবসায়ীরা। এক হাজার মণ ধান-চাল নিয়ে এই নদীতে বড় নৌকা চালাচল করেছে। সারি সারি ছোট ছোট পাল তোলা নৌকা ঘাটে বাঁধা থাকত। তখন নদীতে ব্রিজ ছিল না। নদী পারাপারের একমাত্র বাহন নৌকা। 

ঘাটগণ গ্রামের আছির উদ্দিন নান্টু বলেন, এ নদীতে বাঁধ দেওয়া হচ্ছে। কখনও খনন করা হয়নি। তাই নদীতে পানি থাকে না। এলাকার মানুষ নদী সমান করে ধান-গমের আবাদ করেছে। এবার এখনও আশপাশে বালু তোলা দেখছিনা। তবে প্রতি বছর নদী থেকে বালু তোলা হয়। নদীতে আগে সারা বছর অনেক রকমের দেশী মাছ পাওয়া যেত। এখন বর্ষার সময় কিছু মাছ পাওয়া যায়। 

নদীতে ধান চাষ করা কৃষক আব্দুল আহাদ বলেন, আমি অটোভ্যান চালাই। নিজের জমিজমা নাই। নদী সমান করে কিছু জায়গায় ধানের চাষ করেছি। নদী খনন হোক। নদীতে পানি আসুক। নদী খনন করলে ধান চাষ করব না।

নদী খননের বিষয়ে জানতে চাইলে বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আরিফ সরকার বলেন, নাগর নদী খননের জন্য ফিজিবিলিটি স্টাডি সম্পন্ন হয়েছে। এখন ডিবিপি প্রণয়ন প্রক্রিয়াধীন আছে। খুব শিঘ্রই আমারা বোর্ডের কাছে তা দাখিল করব।

-এমএ

« PreviousNext »



সর্বশেষ সংবাদ
সর্বাধিক পঠিত
Editor : Iqbal Sobhan Chowdhury
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,