মাদক সেবনকালে কথা কাটাকাটির জেরে অটোচালককে হত্যা
Published : Monday, 29 January, 2024 at 11:02 AM Count : 164
নোয়াখালীর
বেগমগঞ্জে মাদক সেবনকালে কথা কাটাকাটির জেরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাচালকের হাতে আরেক অটোরিকশাচালক খুন হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার বিকেলে বেগমগঞ্জ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিজয়া সেন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৬ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মাদধসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের ঘরের পেছনে সুপারি বাগান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
ঘাতক মো. সোহাগ (২৪) উপজেলার ছয়ানী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ দোয়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।
নিহত মামুনুর রশীদ ওরফে মামুন (১৮) উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাকীপুর গ্রামের দেওয়ান বাড়ির কবির হোসেনের ছেলে।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ জানায়, ভিকটিম নিখোঁজের পর থেকে আত্মগোপন চলে যায় ঘাতক খুনি। পরবর্তীতে সুবর্ণচর উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক বছর পূর্বে গ্রেপ্তারকৃত আসামি সোহাগ অটোরিকশা চালানোর সময় ভিকটিম আরেক অটোরিকশা চালক মামুনের সঙ্গে পরিচয় হয়। পরিচয়ের পর থেকে তারা একসঙ্গে বিভিন্ন সময় গাঁজা সেবন করত। ঘটনার দিন গত ২২ জানুয়ারি এশার নামাজের পর সোহাগ ভিকটিমকে মোবাইলে কল দিয়ে গাঁজা সেবনের বিষয়ে জানায়। কিছুক্ষণ পরে ভিকটিম ফোন করে গাঁজা কেনার কথা জানিয়ে সোহাগকে সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থল মাধবসিংহ গ্রামের গাজী আলাউদ্দিনের বাড়ির পশ্চিমে সুপারি বাগানে আসার জন্য বলে।
আসামি ভিকটিমের কথা অনুযায়ী সিগারেট নিয়ে ঘটনাস্থলে আসে। পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত আসামি ও ভিকটিম দু'জনে মিলে দুই স্টিক গাঁজা সেবন করে। গাঁজা সেবনের একপর্যায়ে দু'জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে সোহাগ অর্ধেক ভাঙ্গা ইট দিয়ে মামুনের মাথায় আঘাত করে এবং অন্ডকোষে লাথি মারে। এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি অর্ধেক ভাঙ্গা ইট ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী পুকুরে ফেলে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরবর্তীতে আসামির দেয়া স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে আসামিকে সঙ্গে নিয়ে তার ভাষ্যমতে ঘটনাস্থলের পাশের পুকুর থেকে অর্ধেক ভাঙ্গা ইট ও ঘটনাস্থলের পাশে বাগান থেকে ভিকটিমের পরিহিত স্যান্ডেল উদ্ধারপূর্বক জব্দ করে। আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।
-এমআর/এমএ