চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া)পটিয়ায় আ'লীগের প্রার্থীরা মাঠে থাকলেও বিএনপির প্রার্থীরা আত্মগোপনে |
![]() আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে চট্টগ্রাম-১২ (পটিয়া) আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা গোপনে ও প্রকাশ্যে প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। তার মধ্যে আওয়ামী লীগের চার নেতা প্রকাশ্যে নিজেদের পক্ষে জনসংযোগ, সভা, সমাবেশ, জাতীয় দিবস পালন ও উঠান বৈঠক করে মাঠে নির্বাচনী আমেজ তৈরি করে চলেছেন। এছাড়া আরও প্রায় পাঁচ নেতা রয়েছেন যারা মনোনয়ন লাভে কেন্দ্রের কাছে নিজেদের গ্রহণযোগ্যতা সৃষ্টির তৎপরতায় রয়েছেন। বর্তমান এমপি সামশুল হক চৌধুরী বিগত ১৫ বছর একটানা পটিয়ার উন্নয়ন করে গেলেও দলের মধ্যে রয়েছে তার তীব্র বিরোধীতা। ফলে আসন্ন নির্বাচনে তার সঙ্গে মনোনয়ন চাইবেন অন্তত হাফ ডজন আওয়ামী লীগ নেতা। তাদের মধ্যে রয়েছেন যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র অধ্যাপক হারুনুর রশিদ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বঙ্গবন্ধু পরিষদ টেক্সাসের সভাপতি ড. জুলকারনাইন চৌধুরী, মেজর জেনারেল (অব.) আলাউদ্দিন এম এ ওয়াদুদ বীরপ্রতীক, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সাবেক এমপি চেমন আরা তৈয়ব, পটিয়া পৌরসভার মেয়র আইয়ুব বাবুল এবং দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মো. নাছির, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক প্রদীপ দাশ। এসব নেতাদের রয়েছে নিজস্ব কর্মী বাহিনী ও এলাকাভিত্তিক জনপ্রিয়তা। ফলে আওয়ামী লীগ তৃণমূলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এসব নেতা একে অপরের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। গ্রুপিং, পাল্টাপাল্টি বক্তব্য আগামী সংসদ নির্বাচনে কাল হয়ে দাঁড়াতে পারে। উপজেলার ১৭ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার কমিটি নিয়েও চলছে কোন্দল আর ক্ষোভ। এক গ্রুপ অপর গ্রুপের বিরুদ্ধে প্রচার ও বিষোদাগারে লিপ্ত থাকার সুযোগ নিতে পারে মাঠের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি। তবে এই মুহুর্তে বিএনপির নেতারা মামলার ভয়ে আত্মগোপনের রয়েছেন। পটিয়া আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী বিগত তিনটি নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। তিনি এবারও মনোনয়ন দৌঁড়ে এগিয়ে। তবে দলের আমেরিকা ও ইউরোপ শাখার গুরুত্বপূর্ণ নেতা ড. জুলকারনাইন চৌধুরী দলের হাইকমান্ডের গ্রীন সিগন্যাল পেয়ে দেশে এসেছেন। তার ঘনিষ্ঠজনরা জানিয়েছেন, তিনি দলের মনোনয়ন পাবার ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী। দীর্ঘ ১৫ বছর একটানা এমপি থাকায় সামশুল হক চৌধুরী একদিকে যেমন উন্নয়ন করেছেন অপরদিকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগও রয়েছে দলের ভেতর থেকে। এলাকায় উন্নয়নমূলক অনেক কার্যক্রম পরিচালনা করলেও দলে বিভক্তির কারণে তিনি নানা ভাবে বিতর্কিতও হয়েছেন। দলীয় নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, মামলা দিয়ে হয়রানিসহ দলের একটি অংশকে নানা ভাবে কোণঠাসা করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাশাপাশি যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম দীর্ঘদিন থেকে মাঠে তৎপর রয়েছেন। তিনি প্রতিদিনই তৃণমূলে গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে দলের উন্নয়ন তুলে ধরছেন। অপরদিকে, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য গাজী মো. শাহজাহান জুয়েল এবং দক্ষিণ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় থাকলেও গত ২৮ অক্টোবরের ঢাকায় নাশকতার পর তারা আত্মগোপনের রয়েছেন। -এমএ |