'জয় বাংলা' ছবির মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তরুণ প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার।
রোববার শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় প্রিমিয়ার শো অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা জব্বার বলেন, 'জয় বাংলা স্লোগানটি আমাদের বাঙ্গালীর স্বাধীনতা সংগ্রামে অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে কাজ করেছে। শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন সময় না, মুক্তিযুদ্ধ পূর্ববর্তী সময়ে আমরা জয় বাংলা স্লোগানটি ব্যবহার করেছি।'
তিনি বলেন, 'দেশ স্বাধীনের পর এই স্লোগানটি নিয়ে অনকে বিতর্ক হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই স্লোগানটিকে গ্রহণ করেন। যার মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশ এবং মুক্ত বাঙ্গালী জাতির সঙ্গে জয় বাংলা একটি অবিচ্ছেদ্য অংশে পরিণত হয়।'
তিনি আরও বলেন, 'আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আমরা ‘জয় বাংলা’ কে জাতীয় স্লোগানের মর্যাদা দিতে পেরেছি। এই স্লোগান নিয়ে জয় বাংলা ছবিটি নির্মাণ হয়েছে। এই ছবির মাধ্যমেই তরুণ প্রজন্মের কাছে আমাদের জাতীয় স্লোগান পৌঁছে দিতে হবে।'
লেখক ও সম্পাদক শয়লা রহমান তিথির কাহিনী অবলম্বনে এবং তারই পরিচালনায়, জলিল-জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান কবি জসিম চৌধুরী’র প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘‘জয় বাংলা’’ মুক্তি পেয়েছে।
ছবিটির চিত্রনাট্য লিখেছেন সাজিন আহমেদ বাবু।
ছবিটির চারটি প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা অডিটোরিয়ামে।
প্রদর্শনীতে আবহ সংগীত: আপেল মাহমুদ এমিল, চিত্রগ্রাহক: বিশ্বজিৎ দত্ত, শব্দগ্রাহক: জাবেদ, সম্পাদনা: লিংকন ইসলাম, শিল্প নির্দেশক: ওমর ফারুক, পোশাক ও সাজ-সজ্জা: শায়লা রহমান তিথি, মেক-আপম্যান: জাহাঙ্গীর, বাচিক শিল্পী: হাসান মাহমুদ ছিলেন।
এ চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন তারিক আনাম খান, ফারজানা চুমকি, নাজমুল হক বাবু, আনিসুর রহমান আনিস, শ্বাশত স্বপন, আমানুল হক হেলাল, ওয়ালিদ খান, মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন, ফজলে রাব্বি সম্রাট, শিমুল মিরবর, আমিরুল ইসলাম, মিরাজুল ইসলাম হাওলাদার ও শিশু শিল্পী বিস্ময় মুগ্ধ ও অংকন।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. ফারুক আহমেদ এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মিজানুর রহমান।
ছড়াকার পাশা মোস্তফা কামালের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীল সদস্য ড. নূহ-উল-আলম লেনিন, সাবেক সচিব ড. মিহির কান্তি মজুমদার, ছবিটির প্রযোজক জলিল জাহান ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, কবি ও প্রাবন্ধিক জসিম চৌধুরী, প্রফেসর মো. শাহেদুল খবির চৌধুরী, পরিচালক (কলেজ ও প্রশাসন), মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর, চলচ্চিত্র পরিচালক হাবিবুল ইসলাম হাবিব, খান নজরুল ইসলাম হান্নান নির্বাহী পরিচালক অবারিত বাংলা, ডা. সিদ্ধার্থ মজুমদার, কথাসাহিত্যিক ঝর্ণা রহমান, কবি বেলাল মোহাম্মদ জীবন, রেজাউল করিম লিচু- রাজস্ব কর্মকর্তা, সিজার রাশেদ- কর্মকর্তা বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, চলচ্চিত্রের অভিনয় শিল্পী ও কলাকুশলীগণ এবং অন্যান্য বিশিষ্টজন।
-ডব্লিউকে/এমএ