যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীর মাথা ন্যাড়া করে দিলো স্বামী
Published : Thursday, 17 October, 2019 at 1:09 PM Count : 376
পটুয়াখালীর বাউফলে যৌতুক না দেয়ায় এক গৃহবধূর ওপর বর্বর নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় নির্যাতিত গৃহবধূর বাবা বুধবার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ২০১২ সালে বাউফল উপজেলার আদাবাড়িয়া ইউনিয়নের হাজিরহাট বাজারের সুশীল চন্দ্র কর্মকারের মেয়ে প্রিয়াংকার সঙ্গে কালাইয়া লঞ্চঘাট এলাকার প্রিয় লাল মন্ডলের ছেলে তাপস চন্দ্র মন্ডলের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় ৩ ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয় তাপসকে। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই ফের যৌতুকের দাবিতে প্রিয়াংকার ওপর শুরু হয় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন।
স্বামীর নির্যাতনের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য বাবার নিকট থেকে কয়েক দফায় প্রায় এক লাখ টাকা আনেন প্রিয়াংকা।
সাংবাদিকদের কাছে তিনি বলেন, 'তার স্বামী তাপস একটি প্রাইভেট কোম্পানির এসআর পদে চাকরি করেন। কিন্তু প্রায় রাতেই সে নেশা করে বাড়ি আসে। মঙ্গলবার সকালে প্রিয়াংকার কাছে মোটরসাইকেল কেনার জন্যে ৫০ হাজার টাকা চায় তাপস। টাকা দিতে অপরাগতা প্রকাশ করায় প্রিয়াংকাকে প্রথমে মারধর করা হয়। পরে চুলের মুঠি ধরে দফায় দফায় মাটিতে ফেলে নির্যাতন করা হয়। একপর্যায়ে বটি দিয়ে প্রিয়াংকার মাথার চুল কেটে দেয়া হয়। এ ঘটনার সময় তাপসের পরিবারের সদস্যরা প্রিয়াংকাকে রক্ষা করার জন্য এগিয়ে আসেননি।'
বুধবার সন্ধ্যায় প্রিয়াংকা তার বাবা-মাকে খবর দিয়ে কৌশলে ঘর থেকে বের হয়ে স্থানীয় ডাকবাংলোয় বাউফল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোতালেব হাওলাদারের কাছে এসে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। উপজেলা চেয়ারম্যান তাকে স্বান্তনা দিয়ে বাউফল থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেন।
পরে প্রিয়াংকার বাবা বাউফল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
তবে নির্যাতনের অভিযোগ অস্বীকার করে স্বামী তাপস চন্দ্র মন্ডল বলেন, 'আমার স্ত্রীর মাথায় অতিরিক্ত উঁকুন হওয়ার কারণে সে নিজেই চুল কেটেছে।'
বাউফল থানার ওসি খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, 'অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।'
-এএস/এমএ