আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন যুবলীগের সপ্তম জাতীয় কংগ্রেস বা সম্মেলন আগামী ২৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হবে। সম্মেলনকে সামনে রেখে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ৫২ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সকল প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ ও এলাকায় প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ৫২নং ওয়ার্ড যুবলীগ। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী স্বপন পারভেজ।
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন দেখেছেন সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করে চলেছেন তারই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধু কন্যার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশ থেকে জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত যুবসমাজ গড়তে দৃঢ়প্রত্যয় নিয়ে যুবলীগের রাজনীতিতে আসেন স্বপন পারভেজ। জাতির জনকের স্বপ্ন আর তার সুযোগ্য কন্যার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ার একজন কারিগর হিসাবে যুবলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর সভাপতি আলহাজ্ব মাইনুল হোসেন খান নিখিলের দেখানো আলোরপথের সৈনিক হয়ে নিজের পরিচালিত করতেই ওয়ার্ডে দলীয় কর্মীদের নিয়ে দলীয় বিভিন্ন প্রোগ্রামে প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন স্বপন পারভেজ।
তিনি বলেন, দেশের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আর উন্নয়নের অভিষ্ঠ লক্ষ্য অর্জনের জন্য দরকার দক্ষ জনশক্তি। আর সেই জনশক্তির কারখানা হলো বাংলাদেশ যুবলীগ। যেখানে সোনার বাংলা গড়ার কারিগর তৈরি হয়। তাই দেশের তরুণ প্রজন্মকে আমি যুবলীগের ছায়া তলে আসার আহ্বান জানাই।
তিনি আরো বলেন, কতিপয় অনুপ্রবেশকারীর কারণে আজ দেশে যুবলীগের কার্যক্রম কিছুটা হলেও প্রশ্নবৃদ্ধ। তবে প্রতিষ্ঠার পর থেকে এই যুবলীগ আওয়ামীলীগের হৃদপিণ্ড হয়ে কাজ করছে। আর এই হৃদযন্ত্র সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্যই যুবলীগের এই সম্মেলন। সম্মেলনের তারিখ ঘোষণার পর চাঙ্গাভাব দেখা দিয়েছে যুবলীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে। থানা থেকে শুরু করে ওয়ার্ডের নেতাকর্মীদের মনেও চাঙ্গাভাব। পদপ্রত্যাশীরা সক্রিয় হয়ে উঠেছেন রাজনীতিতে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, উত্তর সিটি কর্পোরেশন তুরাগে নবগঠিত ৫২ নম্বর ওয়ার্ডে যুবলীগের সভাপতি পদপ্রত্যাশী স্বপন পারভেজ রাজনীতিতে ক্লিন ইমেজ। কোন প্রকার মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজির সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই তাঁর।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম যুব সংগঠন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। এটি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুব অঙ্গসংগঠন। সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শেখ ফজলুল হক মনি। যুবলীগের সবশেষ সম্মেলন হয় ২০১২ সালের ১৪ জুলাই। সেই সম্মেলনে ওমর ফারুক চৌধুরীকে চেয়ারম্যান ও হারুনুর রশীদকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়। দুই মাস পর ১৪৮ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হয় তিন বছরের জন্য।পরে আরো তিনজনকে পদ দিয়ে ১৫১ পূর্ণ করা হয়।