দেবে যাওয়া পরিত্যাক্ত সেতুতে ২১ গ্রামের মানুষের যাতায়াত
Published : Wednesday, 2 October, 2019 at 3:18 PM Count : 487
টাঙ্গাইলের বাসাইলে দেবে যাওয়া ও পরিত্যাক্ত সেতু দিয়েই যাতায়াত করে কালিহাতী, সখিপুর ও বাসাইল উপজেলার ২১ গ্রামের সাধারণ মানুষ। উপজেলার কাশীল ইউনিয়নের দাপনাজোড় এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপরে নির্মিত সেতুটি চলতি বছর পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর।
বিকল্প না থাকায় স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ এসব এলাকার সাধারণ মানুষ এই সেতুটি ব্যবহার করে আসছেন। সম্প্রতি বালু খেকোদের থাবায় সেতুর পূর্বপাশে মাটি সরে গেছে এবং মাঝ বরাবর পিলার দেবে যাওয়ায় যেকোন সময় সেতুটি ভেঙ্গে পড়তে পারে।
এলাকাবাসী এবং উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, ১৯৯৯ সালে ৩০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে দাপনাজোড় এলাকায় ঝিনাই নদীর ওপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের সময়ই এই সেতুর একাংশ ভেঙ্গে পড়ায় এলাকাবাসীর তোপের মুখে পড়েছিলো ঠিকাদার। নির্মাণের পর থেকে এই সেতুটি বাসাইল উপজেলার দেউলী, জশিহাটি, হাকিমপুর, কাউলজানী, একঢালা, ফুলকী, ময়থা, ঝনঝনিয়াসহ কালিহাতী ও সখিপুর উপজেলার ২১টি গ্রামের মানুষ জেলা শহর টাঙ্গাইল ও করটিয়া হয়ে ঢাকা যাতায়াতের সংক্ষিপ্ত রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। সরু ও দীর্ঘদিনের পুরানো হওয়ায় প্রকৌশল অধিদপ্তর সেতুটি চলতি বছর পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে লাল নিশান উড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে সেতুতে আড়াআড়ি বাঁশ দিয়ে যাতায়াত বন্ধ করে দেয়।
কিন্তুু বিকল্প সেতু না থাকায় স্থানীয়রা রাতের আঁধারে বাঁশের আড়ি খুলে ফের যাতায়াত শুরু করে। গত কয়েক বছর যাবত সেতুর কয়েকশত গজ উত্তর থেকে শুরু করে সেতুর দক্ষিণে নথখোলা ব্রীজ পর্যন্ত এলাকায় প্রভাবশালী বালু খেকোদের থাবায় ওই এলাকায় নদীর দুপাশে ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়। এ বছর বর্ষার প্রবল স্রোতে সেতুর পিলারের নিচ থেকে মাটি সড়ে যাওয়ায় পিলার দেবে সেতুটির মাঝ বরাবর নিচু হয়ে গেছে। কিছু অংশে ফাটল ও ভাঙ্গনও সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয় নিকছন বলেন, 'প্রতি বছর সেতুর নিচ থেকে বালু তোলার জন্যই সেতুর আশপাশের এলাকা ভেঙ্গে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সেতুর পূর্বপাশের এ্যাপ্রোচের মাটি সরে যাওয়ায় এলাকাবাসী বাঁশের মাচা বানিয়ে চলাচল করছে।'
উপজেলা প্রকৌশলী রোজদিদ আহমেদ বলেন, ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বারের উপস্থিতিতে সেতুটি ব্যাবহার না করার জন্য ব্যানার টানিয়ে লাল নিশাণ, বাশেঁর আড়ি দিয়ে সেতুর ওপর দিয়ে যাতায়াত বন্ধ রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বছর সেতুটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নতুন সেতু নির্মাণের জন্য সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্থানীয়দের সেতু ব্যবহার থেকে বিরত রাখতে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের বিশেষ নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
-এমএ