ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজের তৃতীয় ম্যাচে জিম্বাবুয়েকে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করল সাকিব বাহিনী। জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে বাংলাদেশী বোলারদের দাপটে পেরে উঠতে পারেনি জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানরা। শেষ পর্যন্ত তারা ১৩৭ রানে সব কটি উইকেট হারিয়ে ৩৯ রানের পরাজয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করতে সমর্থ হয় টাইগাররা।
শুরুতেই ব্যাট করতে আসেন বাংলাদেশ ওপেনার লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। লিটন দাসের ব্যাটে যেন আজ আগুন ঝড়েছে। কিন্তু হতাশ করলেন শান্ত। ভালো শুরু করেও মাত্র ১১ রানে জার্ভিসের বলে তার হাতেই ক্যাচ তুলে দিয়ে ঘরে ফিরলেন তিনি।
কিন্তু লিটন দাসের ব্যাটে রান আসে ৩৮। তবে সাকিব আসাতে হাল ছাড়লেন লিটন। এমপোফুর বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে বলটি লুফে নেন নেভিল পুলস। ৩৮ রানে ফেরেন লিটন। এরপর সাকিবে আশা দেখছিল দল। কিন্তু আবারো হতাশ করলেন সাকিব। মাত্র ১০ রানে ক্যাচ হয়ে ফিরলেন অধিনায়ক। এরপর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিম। তাদের ব্যাটে ভর করে দলীয় শতক পার করে বাংলাদেশ দল। এই জুটিতে দেড়শর কাছাকাছি চলে যায় টাইগাররা। কিন্তু রিচমন্ড মুতোম্বোজির স্লোয়ার বলে উইকেট কিপারের কাছে ক্যাচ তুলে দেন মুশফিক। ব্যাক্তিগত ৩২ রানে ফেরেন এ ব্যাটসম্যান। এরপর ব্যাটে আসেন আফিফ হোসেন।
এরইমধ্যে মাহমুদউল্লাহ তুলে নিলেন টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের চতুর্থ অর্ধশতক। আজ আফিফ আর জ্বলে উঠতে পারলেন না। মাত্র ৭ রান করেই ক্যাচ হলেন এ ব্যাটসম্যান। শেষ ওভারে জার্ভিসের বলে পরপর ঘরে ফেরেন মাহমুদউল্লাহ(৬২), মোসাদ্দেক(২)। এরপর মাঠে নামেন সাইফউদ্দিন, ওভার শেষ হওয়ায় ১৭৫ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে থামে বাংলাদেশের ইনিংস।
রান তাড়া করতে নেমে সাইফ-সাকিবের বলে একের পর এক উইকেট হারিয়ে দিশেহারা জিম্বাবুয়ে। প্রমত ওভারেই উইকেট নিলেন সাইফউদ্দিন, তারপর সাকিব।
১৭৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই সাইফউদ্দিনের বলে সাকিবের কাছে ক্যাচ তুলে দিলেন ব্রেন্ডন টেইলর। শূন্য রানে ঘরে ফিরলেন এই উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান।
পরের ওভারেই রেজিস বোল্ড হয়ে ফিরলেন সাকিবের বলে। এবার প্রথম বলে আঘাত করলেন শফিউল। অনেক দিন পরে দলে সুযোগ পেয়ে কাজে লাগালেন এ পেসার। শফিউলের প্রথম বলে মাত্র ২ রানে আফিফের হাতে ক্যাচ তুলে ফেরেন শন উইলিয়ামসন।