পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় বহুল আলোচিত গৃহবধূ গণধর্ষণ মামলার বাদী সিদ্দিক হাওলাদারের হাত ও দুই পা ভেঙে দিয়েছে উপজেলা শ্রমিক লীগ নেতা ও তাঁর সহযোগীরা।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার মহিপুর থানার চাপলি বাজার এলাকায় ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি শ্রমিক লীগ নেতা শাকিল ও অপর আসামিরা এ নির্মম ঘটনা ঘটায়।
পরে স্থানীয়রা গুরুতর অবস্থায় সিদ্দিক হাওলাদারকে উদ্ধার করে কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে রাতেই চিকিৎসক তাকে দ্রুত বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আবুল খায়ের (৪২) নামে ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মহিপুর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মহিপুর থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুবুল আলম সাংবাদিকদের জানান, গত ১৫ এপ্রিল রাতে কলাপাড়া উপজেলার ধুলাশ্বর ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে গৃহবধূর স্বামীকে বেঁধে তাঁর সামনেই স্ত্রীকে পালাক্রমে গণধর্ষণের অভিযোগে একই এলাকার মৃত মনু মাঝির ছেলে শাহ আলম, মনির হাওলাদারের ছেলে শাহিন, রবিউল, আল-আমিন, আব্দুর রশিদ ও মহিপুর থানা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শাকিলসহ ১০ থেকে ১২ জন বিরুদ্ধে ১৬ এপ্রিল ধর্ষণের শিকার নারীর স্বামী সিদ্দিক বাদী হয়ে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পরই পুলিশ দুই আসামিকে গ্রেফতার করে। মামলা অন্য আসামিরা হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসে পরে নিন্ম আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। নিম্ন আদালত আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে তাদের জেল হাজতে পাঠানো নির্দেশ দেয়। দীর্ঘদিন কারা ভোগের পর আসামিরা সবাই জামিন পায়। তিনি জানান, দীর্ঘ তদন্ত শেষে গত পহেলা জুলাই ৭ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করে পুলিশ।
মোবাইল ফোনে হামলার শিকার সিদ্দিক জানায়, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধুলাস্বর ইউনিয়নের চাপলি ইউনিয়ন পরিষদের সামনে তার স্ত্রীর ধর্ষণ মামলার অন্যতম আসামি শ্রমিক লীগ মহিপুর থানার সাধারণ সম্পাদক শাকিল, শাহ আলম, মামুন, রবিউলসহ কয়েক যুবক কোন কারণ ছাড়াই তাকে রড ও ইট দিয়ে পিটিয়ে হাত পা গুড়িয়ে দেয়। হামলাকারীরা তাঁকে মামলা তুলে নিতে হুমকি দেয়।
এ বিষয়ে মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সোহেল আহমেদ সাংবাদিকদের জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে একজনকে আটক করেছে পুলিশ। বাকিদের গ্রেফতারের বিষয়ে পুলিশ অভিযান অব্যাহত রেখেছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা যতোই ক্ষমতাশালী হোক না কেন তাদের ছাড় দেয়া হবে না।
Published by the Editor on behalf of the Observer Ltd. from Globe Printers, 24/A, New Eskaton Road, Ramna, Dhaka.
Editorial, News and Commercial Offices : Aziz Bhaban (2nd floor), 93, Motijheel C/A, Dhaka-1000. Phone : PABX- 0241053001-08; Online: 41053014; Advertisemnet: 41053012
E-mail: info$dailyobserverbd.com, mailobserverbd$gmail.com, news$dailyobserverbd.com, advertisement$dailyobserverbd.com,
[ABOUT US][CONTACT US][AD RATE]Developed & Maintenance by i2soft