ভোলার লালমোহনে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজির চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ৩০ কেজির বস্তা খুলে ২০-২২ কেজি করে চাল বিতরণ করছেন ডিলাররা। অথচ প্রতিজন তালিকাভুক্ত ব্যক্তি ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। কিন্তু লালমোহনে এক শ্রেণির ডিলার সে নিয়ম মানছে না।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় উপজেলার চরভূতা ইউনিয়নের হরিগঞ্জ বাজারে চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে সরেজিমনে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাবিবুল হাসান রুমি। এ সময় তালিকাভুক্তরা ইউএনওর কাছে ৩০ কেজির বস্তা খুলে ডিলার ২০ কেজি করে চাল দেওয়ার প্রতিবাদ জানান। তাৎক্ষণিক ইউএনও অভিযোগের সত্যতা পান।
তিনি ডিলার সরোয়ারকে চাল কম দেওয়ার কারণ জিজ্ঞাসা করলে তিনি উপজেলা খাদ্য গুদাম থেকে ১৫ বস্তা চাল কম দিয়েছে বলে জানান। যার কারণে তিনি চাল কম দিচ্ছেন।
ইউএনও উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক আব্দুল মান্নান মৃধাকে ঘটনাস্থলে ডেকে নিলে তিনি কোন উত্তর দিতে পারেননি।
অভিযোগ রয়েছে, খাদ্য গুদাম কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় ডিলাররা চাল উত্তোলন করে নেওয়ার আগেই গুদামে বিক্রি করে যায়। প্রতিজন ডিলারের বিপরীতে একজন করে তদারকী কর্মকর্তা দায়ীত্ব দেওয়া হয়েছে। অথচ চাল বিতরণের সময় তদারকী কর্মকর্তারা যথাযথ দায়ীত্ব পালন না করায় ডিলাররা নিজেদের ইচ্ছামতো চাল বিতরণ করেন। লালমোহনে ২৪ জন ডিলার রয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন ডিলার চাল উত্তোলন করেছে বলে জানান উপজেলা ওসিএলএসডি (খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা) আব্দুল জলিল সিকদার।
চলতি সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর মাসে চাল পাবে। এরপর আবার ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে চাল পাবে। বছরে ৫ মাস দেওয়া হয়।
উপজেলা ওসিএলএসডি আব্দুল জলিল সিকদার জানান, খাদ্য গুদাম থেকে চাল কম দেওয়া হয়নি। তবুও এক শ্রেণীর মানুষ সবকিছুতেই খাদ্য গুদাম চাল কম দেওয়া হয় বলে অপপ্রচার করে।
ডিলার সরোয়ার জানান, উপজেলার সকল ডিলার বস্তা খুলে চাল বিতরণ করে। আমিও খুলে বিক্রি করেছি। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এসে বলায় আমি পুরো বস্তা চাল বিতরণ করেছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হাবিবুল হাসান রুমি জানান, সরকারের খাদ্য বান্ধব কর্মসূচিতে কোন অনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। অনিয়ম পাওয়ায় চরভূতার ডিলারকে সতর্ক করেছি। এরপরও করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এইচএস