আইনজীবীকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে পটুয়াখালীল গলাচিপা উপজেলা চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। এড. উম্মে আসমা আঁখি বাদী হয়ে রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এ মামলা করেন। ট্রাইব্যুনালের বিচারক নিতাই চন্দ্র সাহা অভিযোগ আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট থানাকে এজাহার নেয়ার নির্দেশ প্রদান করেন।
মামলার মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১২ সেপ্টেম্বর দুপুরে গলাচিপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহিন শাহ্ মামলার বাদীর শ্বশুর ও কলাগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ্ওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দুলাল চৌধূরীকে ফোনে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। পরে এর সূত্র ধরে নারী আইনজীবী উম্মে আসমা আঁখিকে প্রকাশ্যে গালমন্দের একপর্যায় চরথাপ্পর, কিল, ঘুষি ও লাঁথি মেরে তাঁর শ্লীলতাহানী ঘটান।
এ ঘটনার প্রতিবাদে পটুয়াখালী প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন নির্যাতিতা আইনজীবীর পরিবার।
এদিকে নারী আইনজীবীকে লাঞ্ছিতের অভিযোগ অস্বীকার করে গলাচিপায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন শাহের সমর্থকরা।
জানা গেছে, লাঞ্ছিতের ঘটনায় গলাচিপা থানায় একটি জিডি করেন ভুক্তভোগী পরিবার। পাশাপাশি জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়। সর্বশেষ রোববার দুপুরে উম্মে আসমা আঁখি বাদী হয়ে শাহিনকে আসামি করে পটুয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিপি নুরের ওপর হামলা চালায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিন নিজেই। এছাড়াও দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচারণ করেন শাহিন। এর ফলে গলাচিপা উপজেলার ১১ জন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গত জুন মাসে ঢাকায় অবস্থান নিয়ে স্থানীয় সাংসদ শাহজাদা সাজুর সরণাপন্ন হয়। পরে সাংসদের হস্তক্ষেপে তা মিমাংসা করা হলেও স্থায়ী ভাবে সমাধান হয়নি বলে জানান, উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক নেতাই।
এঘটনায় উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি।
এমপি/এইচএস