ফেনীর আলোচিত মাদরাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আজ সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হয়েছে। বুধবার থেকে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে।
অভিযোগ গঠনের পর গত ২৭ জুন থেকে ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই মামলায় মোট ৮৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা সম্পন্ন হয়। মামলায় মোট ৯১ জন সাক্ষী ছিলেন। বাকী ৪ জন সাক্ষীর দাখিলকৃত বক্তব্য অপর সাক্ষীদের দ্বারা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের আদালতে সাক্ষ্য দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি।
আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে জেলা জজ আদালতের সরকারী কৌসূলী হাফেজ আহাম্মদ বলেন, আদালতে সাক্ষীদের সাক্ষ্য ও জেরা শেষ হওয়ার পর সোমবার ফৌজদারী কার্যবিধির ৩৪২ ধারায় আদালতে বিচারক এই মামলায় অভিযুক্ত ১৬ আসামীকে পরীক্ষা করেন এবং তাদের বক্তব্য শুনেন। আদালতে ১৬ আসামির সবাই আত্মপক্ষ সমর্থন করে বিবৃতি দিয়ে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
আদালত আগামী বুধবার থেকে এই মামলায় যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের দিন ধার্য করেন।
গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের পর ৯১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৮৭ সাক্ষীকে আদালতে তাদের সাক্ষ্য গ্রহণ ও জেরার জন্য উপস্থাপন করা হয়। গত ২০ জুন সাক্ষ্য গ্রহণের এই আদেশ দেন আদালত। এ মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ার আগে সাতজন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
গত ৬ এপ্রিল ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় আলিম পরীক্ষা কেন্দ্রে গেলে নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। মাদরাসা অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে; যা মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন। ১০ এপ্রিল ঢাকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নুসরাতের মৃত্যু হয়। পরে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ফেনীর পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এমএটিভি/এইচএস