ব্লাক ডায়মন্ডের দাম ২০ লাখ
Published : Saturday, 27 July, 2019 at 3:08 PM Count : 353
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার সোনারং গ্রামের শরীফ ঢালীর শখ গরু পালন, মাছ চাষ ও বাগান করা। শখের বসে গত চার বছর আগে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর থেকে আমেরিকার ব্রাহমা জাতের গরুর শুক্রাণু সংগ্রহ করেন। সেই শুক্রাণু তার একটি পালের গাভীর সঙ্গে সংকর করলে একটি বাছুর জন্ম নেয়। সেই বাছুরটি বড় হয়ে এখন তার ওজন হয়েছে প্রায় ৩০ মণ। এ বছর গরুটি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শরীফ ঢালী। গরুটি ২০ লাখ টাকায় বিক্রি করার আশা তার।
গত ৪ বছর ধরে প্রাকৃতিক উপায়ে ও পুষ্টিকর খাবারে আমেরিকার ব্রাহমা জাতের গরুটি লালন-পালন করেছেন। নাম রেখেছেন ব্লাক ডায়মন্ড। গরুটি গত ৪ বছরে লালন-পালনে খরচ হয়েছে ৩-৪ লাখ টাকা।
শরীফ ঢালী জানান, প্রতিদিন গরুটির খাবারের তালিকায় রয়েছে, গম, কুড়া, ক্ষইল, মসুরিসহ নানা ধরনের দানাদার খাবার। সঙ্গে রয়েছে মিষ্টি আলু, গোল আলু, মিষ্টি কুমড়া, জালি কুমড়া, পাকা ও কাঁচা কলা, কাঠাল ও কাঁচা ঘাস। চার বছর আগে বাছুরটির ওজন ছিলো প্রায় ৪০ কেজি। পুষ্টিকর আর প্রাকৃতিক খাবারে তার ওজন এখন প্রায় ৩০ মণ।
স্থানীয়রা জানান, আকর্ষণীয় এই গরুটিকে দেখতে সোনারং আদর্শ মাদ্রাসা সংলগ্ন শরীফ ঢালীর বাড়িতে প্রতিদিন দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসছেন। বেপারীরা এসে গরুটির দরদামও করছে্ন। তবে শরীফ ঢালীর ইচ্ছা সরাসরি কোনো ব্যক্তির কাছে তার ব্লাক ডায়মন্ডকে বিক্রি করার।
টঙ্গিবাড়ী উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের ভেটেরিনারী সার্জন ডা. মো. কামরুল হাসান সৈকত জানান, তাদের দপ্তর থেকে দেয়া শুক্রাণু থেকে জন্ম নেয়া বাছুরটির ওজন আজ ১২শ’ কেজি বা ৩০ মণ। প্রথম দিন থেকে প্রায় ৪ বছরে প্রাকৃতিক উপায়ে গরুটি লালন-পালন করা হয়েছে।
-এমএ