নুহাশপল্লীতে নানা আয়োজনে হুমায়ুন স্মরণ
Published : Friday, 19 July, 2019 at 3:58 PM Count : 468
নানা আয়োজনে কালজয়ী কথা সাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃত্যুবার্ষিকী গাজীপুরের নুহাশপল্লীতে পালিত হয়েছে। শুক্রবার (১৯ জুলাই) সকালে নিহতের ভাই-বোন, শ্বশুর এবং নুহাশপল্লীর কর্মচারী ও ভক্তসহ হিমু পরিবহণের সদস্যরা কবর জেয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সকাল ১০টার দিকে হুমায়ুন আহমদের শ্বশুর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও নুহাশপল্লীর কর্মচারীরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পন এবং হুমায়ূনের কবর জিয়ারত করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট এবং মাসিক উন্মাদের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আহসান হাবীব, তার স্ত্রী আফরোজা আমিন, বোন সুফিয়া হায়দার, রোকসানা আহমেদ, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেল প্রমূখ লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোটভাই আহসান হাবিব জানান, হুমায়ূন আহমেদের সকল স্বপ্ন বাস্তাবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তার অনেক স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয়েছে। ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণসহ অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। তিনি প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি হুমায়ূন আহমেদের লেখাগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশের অনুরোধ করেছে। তিনি আরো বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মিউজিয়ম স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাকে নিয়ে একটি আর্কাইভ নির্মান করা হয়েছে। অনেকে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে গবেষণা করছেন। এ আর্কাইভ গবেষণা কাজে সহায়তা করবে।
হিমু পরিবহণের সভাপতি মো. আসলাম হোসেন জানান, তারা সকালে ঢাকা,ফরিদপুর, নরসিংদী ও গাজীপুর থেকে ৬০জন হিমু নুহাশ পল্লীর কর্মসূচীতে যোগ দেন। হিমুরা একযোগে ৪০ জেলায় একযোগে তাদের প্রিয় লেখকের স্মরণে নানা কর্মসূচী পালন করছে। তার মধ্যে বৃক্ষরোপন, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বইমেলা রয়েছে। হিমুদের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ১০টি জেলা পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।
লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং তার দুই ছেলে নিশান ও নিনিদ দেশের বাইরে থাকায় লেখকের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচীতে যোগ দিতে পারেননি।
শাওনের বাবা প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী জানান, শাওন চলচ্চিত্র বিষয়ক ৬মাস ব্যাপী এক প্রশিক্ষণ নিতে নিশাদ ও নিনিদকে সঙ্গে গত মে মাসে আমেরিকা গেছেন। এজন্য তারা এ কর্মসূচীতে যোগ দিতে পারেননি। তবে শাওন নিউয়র্কে স্বামীকে নিয়ে একটি স্মরনসভায় যোগ দেবে।
নুহাশপল্লীর ব্যবস্থাপক সাইফুল ইসলাম বুলবুল জানান, দিনটি উপলক্ষ্যে সকাল থেকে কোরআনখানির আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া স্যারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দুপুরে এলাকার বিভিন্ন মাদ্রাসার এতিম শিশু ছাড়াও অতিথিদের দুপুরের খাওয়ার আয়োজন করা হয় ।
এফএ/এইচএস