কোরবানীর এখনও প্রায় একমাস বাকি। কোরবানীকে সামনে রেখে গবাদিপশু পরিচর্যায় ব্যস্ত বগুড়ার প্রায় ২৭ হাজার খামারি। আর কোরবানীকে ঘিরে ভাল দাম পাবার স্বপ্ন দেখছে গরুর খামারীরা।
জেলার প্রায় ২৭ হাজার খামারি এখন কোরবানীর হাটকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে। দেশীয় খামারীরা গত বছর কোরবানীর পশুর ভাল দাম পাওয়ায় এবার তারা ব্যাপক গরু, ছাগল, ভেড়া পালন করেছে। নিজেদের খামারের গরু, ছাগল, ভেড়াসহ কোরবানীর প্রাণী হাটে তোলার আয়োজনে রয়েছে। বগুড়ায় কোরবানীর জন্য পশু চাহিদা ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০টি হলেও গরু, ছাগল ও ভেড়া পালন হয়েছে প্রায় পৌনে ৪ লাখ।
জেলা প্রানী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ রফিকুল ইসলাম তালুকদার জানান, গত বছর গরু উদ্বৃত্ব থাকায় বগুড়ার হাটগুলোতে চট্টগ্রাম, সিলেট, রংপুরের ব্যবসায়ীদের গরু ক্রয় করতে দেখা গেছে। চাহিদার তুলনায় পালন বেশী হওয়ায় এবারও জেলার বাইরের পাইকাররা গবাদি পশু কিনতে বগুড়ায় ভীড় করবে।
তিনি জানান, দেশের বাইরে থেকে গরু দেশের অভ্যান্তরে না এলে দেশেল খামারীরা এবারও ভাল দাম পাবে।
খামারে এবার প্রচুর পরিমানে দেশীয়জাতের গরু পালন করা হয়েছে। খামারে লালন পালন করা গরুর সংখ্যা বেশি হবে। এবছর গরু ২ লাখ ৯৩ হাজার ৬২টি, মহিষ ২ হাজার ৪৮টি, ছাগল দেড় লক্ষাধিক, ভেড়া সাড়ে ২৬ হাজার নিয়ে মোট গবাদিপশু রয়েছে ৩ লাখ ৮৮ হাজার ৮০৮টি। মোট খামারী রয়েছে ২৬ হাজার ৯৩০ জন।
বগুড়া জেলায় কোরবানীর পশুর চাহিদা প্রায় ৩ লাখ ৩৫ হাজার। গত বছর কোরবানী দেয়ার সংখ্যা ছিল সব মিলিয়ে প্রায় ৩ লাখ ২৬ হাজার ৪০৫টি। তিনি জানান, জেলায় চাহিদার তুলনায় বেশি পশু লালন পালন হয়েছে। বাড়তি পশুগুলো বিভিন্ন জেলায় চলে যায়। সবচেয়ে বেশি যায় ঢাকায়। এছাড়া চট্রগ্রাম, ময়মনসিংহ, সিলেটে যায় কোরবানীর পশু। বগুড়াবাসী দেশীয় পশু দিয়েই তাদের কোরবানির কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন বলে জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা আশা প্রকাশ করেন। খামারে এবার প্রচুর পরিমানে দেশীয়জাতের গরু পালন করা হয়েছে।
বগুড়ার নন্দীগ্রাম, শাজাহানপুর, বগুড়া সদর, শিবগঞ্জ, সোনাতলা, সারিয়াকান্দি, ধুনট উপজেলায় খামারীরা দেশীয়জাতের গরু লালন পালন করেছে। গরুগুলো লালন পালন করেছে কাঁচা ঘাস, খৈল, ভুষি, ভাতের ফ্যান, খড়, খুদ কুড়া খাওয়ানো হচ্ছে।
বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলার খামারীরা জানান, গত কয়েক বছরে ভারতীয় গরু কম আসার কারণে জেলায় দেশীয়জাতের গরুর চাহিদা বেড়ে গেছে। কোরবানির হাটকে সামনে রেখে বগুড়ায় খামারিরা পশু তাজা করণ শুরু করে। এখন কিছুদিনের মধ্যেই হাটে হাটে পশু বিক্রি শুরু হবে।
এজেড/এইচএস