ট্রেন-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বর-কনেসহ নিহত ১১
Published : Monday, 15 July, 2019 at 7:52 PM Count : 637
সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া উপজেলার সলপে ট্রেন ও মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে বর-কনে সহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। নিহতের সবাই মাইক্রোবাসের যাত্রী বলে জানা গেছে।
সোমবার (১৫ জুলাই) বিকাল পৌনে ৭টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। সিরাজগঞ্জ জিআরপি থানার ওসি হারুন মজুমদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যায় দুইজনকে ঢাকায় এবং রাত ১০টার দিকে আরো দুইজনকে বগুড়ায় জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয় বলে উল্লাপাড়া থানার (ইন্সপেক্টর, তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানায়।
তিনি আরো জানান, এই ঘটনায় আহত হয় আরো ৮ জন। আহতদের সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে দুইজনের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, বর সদর উপজেলার কালিয়াকান্দাপাড়া গ্রামের মাংস ব্যবসায়ী আলতাব হোসেনের ছেলে রাজন, কনে উল্লাপাড়ার ঘাটিনা গ্রামের আব্দুল গফুরের মেয়ে সুমাইয়া খাতুন, গাড়ি চালক কামারখন্দের স্বাধীন, ছেলের বন্ধু পৌরশহরের সর্দার পাড়ার মো. শরিফুল ইসলাম এবং মুসা, টুটুল, খোকন, মমতা, বয়োজিদ, উল্লাপাড়ার কাজিপাড়া গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে ভাসা এবং পৌরশহরের সয়াধানগড়া মহল্লার সুরত আলীর ছেলে আব্দুল আহাদ।
উল্লাপাড়া থানার (ইনসেপেক্টর, তদন্ত) গোলাম মোস্তফা জানায়, সোমবার সদর উপজেলার কালিয়া হরিপুর গ্রাম থেকে একটি মাইক্রোবাস বরযাত্রী নিয়ে উল্লাপাড়ার চর ঘাটিনা গ্রামে গিয়েছিল। বিয়ে শেষ করে কনেকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে সন্ধা পৌনে ৭টার দিকে মাইক্রোবাস (ঢাকা মেট্রে-চ ১৫-৪১৫৯) উল্লাপাড়া-ঢাকা রেলপথের সলপ অরক্ষিত রেলক্রসিং অতিক্রমের সময় রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী পদ্মা এক্সপ্রেস ট্রেনের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রবাসটি ট্রেনের ইঞ্জিনের সঙ্গে আটকে প্রায় দুই কিলোমিটার দূরে গিয়ে পড়ে। এসময় ট্রেনের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়।
উল্লাপাড়া মডেল থানার ওসি দেওয়ান কওশিক আহমেদ ও সলপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার শওকত আলী জানান, নিহতদের ময়না তদন্তের জন্য সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হচ্ছে। দুর্ঘটনার পর ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে।
এবি/এইচএস