শেষ হলো পদ্মাসেতুর পাইলিংয়ের চ্যালেঞ্জিং কাজ
Published : Sunday, 14 July, 2019 at 9:24 PM Count : 304
অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে পদ্মাসেতুর ৪২টি পাইল স্থাপনের কাজ রোববার দিনের প্রথমার্ধে সফল ভাবে শেষ হয়েছে।এই পাইলগুলোর নদীর তলদেশে নিয়ে যেতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পাঁচটি হাতুড়ি (হেমার) ব্যবহার করা হয়।
প্রতিটি হাতুড়ি ছিল সাড়ে ৩ হাজার কিলোজুল শক্তি সম্পন্ন। একেকটি হাতুড়ির এক আঘাতে পাইল নদীর গভীরে প্রবেশ করেছে মাত্র ১ মিলিমিটার পর্যন্ত।
৮ হাজার ২০০ টন লোড ধারণ ক্ষমতার ৬টি পাইল দিয়ে গড়ে উঠে একটি পিলার। কোনো কোনো পিলারে ৭টি করে পাইল রাখা হয়েছে। একেকটি পিলার নদীর ১১০ থেকে ১২০ মিটার গভীরে নিয়ে যাওয়া হয়। সর্বোচ্চ গভীরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেতুর শরিয়তপুরের অংশের ৩৬ ও ৩৭ নম্বর পিলারকে।
মুন্সিগঞ্জের মাওয়া থেকে শরিয়তপুরের জাজিরা পর্যন্ত ৬ কিলোমিটার নদীতে বসেছে স্প্যান। ২৪টি স্প্যানের মধ্যে ১৪টি স্প্যান পিলারের ওপর বসিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেতুকাঠামো দেখা যাচ্ছে প্রায় সোয়া ২ কিলোমিটার। এছাড়া আরও ১০টি স্প্যান প্রস্তুত রয়েছে মাওয়া পাড়ে। এ মাসের শেষের দিকে পিলারে আরও একটি স্প্যান বসবে।
৪২টি পিলার গড়তে প্রায় সাড়ে ৩ বছর লাগলো সেতু নিমাণকারী চীনা প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ার কোম্পানির। ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে প্রথম পদ্মার পাইল শুরু হয়। তার আগে ২০১৫ সালের মার্চে করা হয় টেস্ট পাইল।