নুসরাত হত্যা: ৬ষ্ঠ বারের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ
Published : Thursday, 4 July, 2019 at 1:10 PM Count : 405
ফেনীর সোনাগাজীর আলোচিত মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় ৬ষ্ঠ বারের মতো সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা চলছে।
বুধবার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আমিনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষ হয়। পরে আদালত বৃহস্পতিবার মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী মোহাম্মদ মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন।
সকাল সাড়ে ১১টায় কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে মামলার প্রধান আসামি সিরাজ উদদৌলা, আওয়ামীলীগ নেতা রহুল আমিন ও কমিশনার মাকসুদ সহ ১৬ আসামীকে ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে হাজির করা হয়।
গত ২৭ জুন মামলার ৯২ জন সাক্ষীদের মধ্যে প্রথমে নুসরাতের বড় ভাই ও মামলার বাদী মাহমুদুল হাসান নোমানের সাক্ষ্যগ্রহন শুরু হয়। ৩০ জুন আসামী পক্ষের ১৬ আইনজীবী তার জেরা শেষ করেন। ১ জুলাই নুসরাতের বান্ধবী সুলতানা নিশাত ও ফুর্তির সাক্ষ্যগ্রহন ও জেরা হয়। ২ জুলাই ফুর্তির জেরা শেষে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ব্যক্তিগত সহকারী নুরুল আমিন আদালতে সাক্ষ্যদান শুরু হয়ে ৩ জুলাই সাক্ষ্যদান শেষ হলে। আজ মাদ্রাসার নৈশ প্রহরী মোস্তফার সাক্ষ্যগ্রহন হচ্ছে। এরপর সাক্ষ্য দিবেন লোকমান হোসেন সহ বাকীরা।
এদিকে নুসরাতকে হত্যার আগে গত ২৭ মার্চ শ্লীলতাহানির অপর আরেকটি মামলায় একমাত্র আসামী মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ্দৌলার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে পিবিআই। বুধবার ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসেনের আদালতে চার্জশিট জমা দেয়া হয়।
পিবিআই জানান, ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা নুসরাতকে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে শ্লীলতাহানি করে। পরে নুসরাতের মা শিরিন আক্তার বাদি হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা দায়ের করলে পুলিশ অধ্যক্ষকে আটক করে। পরে পলিশ সদর দপ্তর থেকে মামলাটি পিবিআই কে তদন্তের দায়িত্ব দেয়। পিবিআই ৯৬ দিনের মাথায় আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন। ২৭১ পৃষ্টার অভিযোগ পত্রে ডাক্তার ও পুলিশ সহ মোট ২৯ সাক্ষী রয়েছে বলে জানায় পিবিআই।
বৃহস্পতিবার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেনের আদালতে মামলার শুনানী হয়। শুনানী শেষে মামলাটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত আগামী ৯ জুলাই এই মামলাটির চার্জ শুনানির দিন ধার্য করেছে বলে জানান বাদী পক্ষের আইনজীবী।
এটিবি/এসআর