সুন্দরবনে আজ থেকে ২ মাস মাছ আহরণ নিষিদ্ধ
Published : Monday, 1 July, 2019 at 5:33 PM Count : 403
সুন্দরবনের মৎস্য সম্পদ রক্ষায় ১ জুলাই থেকে সকল খালে দুই মাস মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে বন বিভাগ। মাছের ভান্ডার হিসেবে খ্যাত ম্যানগ্রোভ এই বনের ৪ শতাধিক খালে বিষ দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করাসহ মৎস্য এবং মৎস্য প্রজাতির অবাধ প্রজনন ও সংরক্ষণে সব খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। একই সাথে ২৫ ফুট বা তার নিচের চওড়া সকল খালগুলোতে সারা বছর ধরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে। সুন্দরবন বিভাগ এতথ্য নিশ্চিত করেছে।
বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. মাহমুদুল হাসান জানান, সুন্দরবন বিভাগের কাছ থেকে নিদৃষ্ট পরিমান রাজস্ব পাশ-পারমিট নিয়ে বৈধ পথে ও অবৈধ পথে সুন্দরবনের মৎস্য এবং মৎস্য প্রজাতির সম্পদ আহরণ করতে জেলেরা বনে প্রবেশ করে থাকে। জুলাই ও আগষ্ট মাসে সাদা মাছের প্রজনন মৌসুমে মাছের আধিক্য থাকায় একশ্রেনীর আসাধু জেলে সুন্দরবনের খালগুলোতে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ করে। এই বিষ প্রয়োগের ফলে খালের ছোট-বড় সব মাছসহ মৎস্য প্রজাতির সকল প্রানী মারা যায় এবং মৎস্য প্রজাতির অবাধ প্রজনন ও সংরক্ষণ বিনষ্টের পাশাপাশি সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যের উপর বিরূপ প্রভাব পড়ে। এই অবস্থা থেকে উত্তরনে আগামী জুলাই- আগস্ট এই দুই মাস সুন্দরবনের সকল খালে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। একই সাথে ২৫ ফুট বা তার নিচের চওড়া সকল খালগুলোতে সারা বছর ধরে মাছ আহরণ নিষিদ্ধ থাকবে বলে তিনি জানান ।
বন বিভাগ সূত্রে জানাযায় প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গ কিলোমিটার আয়তানের সুন্দরবনের জলভাগের পরিমান ১ হাজার ৮৭৪.১ বর্গ কিলোমিটার। যা সমগ্র সুন্দরবনের ৩১.১৫ ভাগ। এই জলভাগে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ১৩টি বড় নদ-নদীসহ ৪৫০টি খাল। জোয়ারের পানিতে সব সময় প্লাবিত হওয়া ম্যানগ্রোভ এই জলভাগে ভেটকী, রূপচাঁদা, দাঁতিনা, চিত্রা, পাংগাস, লইটা, ছরি, মেদ, পাসে, পোয়া, তপসী, লাক্ষা, কৈ, মাগুর, কাইন মাগুর, রূপালী ইলিশসহ ২১০ প্রজাতির সাদা মাছ। গলদা, বাগদা, চাঁকা, চালী, চামীসহ ২৪ প্রজাতির চিংড়ী। বিশ্বখ্যাত শিলা কাঁকড়াসহ ১৪ প্রজাতির কাঁকড়া। ৪৩ প্রজাতির মালাস্কা ও ১ প্রজাতির লবস্টার। লবন পানির কুমির, ফোদড় এছাড়াও বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির ইরাবতীসহ ৬ প্রজাতির ডলফিন রয়েছে।
এমএইচএটি/এইচএস