সাক্ষ্য দিতে আদালতে নুসরাতের দুই বান্ধবী
Published : Monday, 1 July, 2019 at 3:02 PM Count : 741
বাদিপক্ষের হয়ে সাক্ষ্য দিতে আদালতে উপস্থিত হয়েছে নুসরাত জাহানের দুই বান্ধবী ও সহপাঠী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফূর্তি।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ফেনীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মামুনুর রশিদের আদালতে সাক্ষ্য গ্রহণের তৃতীয় দিনে নিশাত সুলতানা প্রথমে সাক্ষ্য প্রদান করেছে। এর পরে সাক্ষ্য প্রদান করার কথা রয়েছে নাসরিন সুলতানা ফূর্তির।
এ সময় আদালতের কাঠগড়ায় আলোচিত এই মামলার মোট ১৬ আসামিও হাজির ছিলেন।
আদালত সূত্রের বরাত দিয়ে সরকারী কৌঁসুলী (পিপি) হাফেজ আহাম্মদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) মামলার বাদি নুসরাতের বড় ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান সাক্ষ্য প্রদান করেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। জেরা শেষ হয় রোববার (৩০ জুন)।
বাদিপক্ষের আইনজীবী শাহজাহান সাজু বলেছেন, 'আদালতে আজ সাক্ষ্য প্রদান করছে নুসরাত জাহানের বান্ধবী নিশাত সুলতানা ও নাসরিন সুলতানা ফূর্তি।'
এর মধ্যে নিশাতকে মেরে ফেলছে বলে হত্যাকাণ্ডের দিন নুসরাতকে ছাদে ডেকে নিয়ে যায় হত্যাকারীরা। অপর বান্ধবী নাসরিন সুলতানা ফূর্তিকেও যৌন হয়রানী করে সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলা।
এর আগে গত ২৭ জুন অভিযোগ গঠনের ৬ দিনের মাথায় ৯২ জন সাক্ষীর মধ্যে ৩ জনকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়। সাক্ষ্য শেষ না হওয়ায় সে দিন আদালত মুলতবি ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ২০ জুন আদালত সাক্ষ্য গ্রহণের এই আদেশ দেন। ওই দিন মামলার ১৬ আসামির পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাদের আইনজীবীরা। শুনানি শেষে আদালত তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে ২৭ জুন সাক্ষ্য গ্রহণ শুরুর দিন ঠিক করে বিচার শুরুর আদেশ দেয় আদালত।
এ মামলার চার্জশিট জমা দেয়ার আগে ৭ জন সাক্ষী আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী নুসরাত গত ৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসা কেন্দ্রে পরীক্ষা দিতে গেলে কৌশলে ছাদে ডেকে নিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে করা শ্লীলতহানির মামলা তুলে না নেওয়ায় তাকে হত্যা করা হয় বলে মৃত্যুশয্যায় নুসরাত বলে গেছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআই পরিদর্শক মো. শাহ আলম আদালতে মোট ১৬ জনকে আসামি করে অভিযোগপত্র জমা দেন।
এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্যের দায়িত্বে অবহেলার প্রমাণ মিলেছে। এছাড়া যৌন হয়রানির মামলার পর নুসরাতের জবানবন্দি গ্রহণের সময় তার ভিডিও ধারণ করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে সাইবার আইনে মামলা হওয়ার পর সোনাগাজী থানার তৎকালীন ওসি মোয়াজ্জেমকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
-এমএটিভি/এমএ