অটোচালককে গলাকেটে হত্যা: আরেক জনের স্বীকারোক্তি
Published : Friday, 28 June, 2019 at 8:54 PM Count : 405
মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার বালুচর এলাকায় অটোরিকশা চালক আবদুর রাজ্জাক মিয়াকে (১৭) গলাকেটে হত্যার ঘটনায় কাউসার আহমেদ শাওন (১৮) নামে আরো একজন স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আজ শুক্রবার আদালতে স্বীকারোক্তির মূলক জবানবন্দি দেয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাজ্জাকের মিয়ার বন্ধু জান্নাত মিয়া দায় স্বীকার করে আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি দিয়েছিল। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গজারিয়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম আদালতের বরাত দিয়ে শুক্রবার এ তথ্য নিশ্চিক করেন।
তিনি আরো জানান, হত্যা মিশনে চার জন সক্রিয় অংশ গ্রহনের কথা নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাকী দুই ঘাতকে স্বল্প সময়ের মধ্যেই আইনের আওতায় আনার হবে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে, গজারিয়া উপজেলার দৌলতপুর তিনআনি গ্রামের হায়দার আলী মিয়ার ছোট ছেলে বর্তমানে উপজেলা সদরের টিএন্ডটি কার্যালয়ের পেছনে নানা আবদুল গণি মিয়ার বাড়িতে মায়ের সাথে বসবাস করতেন জান্নাত মিয়াসহ তাঁর কয়েক বন্ধুর সঙ্গে আইপিএল খেলায় বাজি রাখা জুয়ার টাকা নিয়ে বিরোধের জের ধরে ১৮ জুন মঙ্গলবার আব্দুর রাজ্জাককে বালুচর এলাকার নির্জন মেঘনার কুলে নিয়ে রাত সাড়ে নয়টার দিকে বন্ধুরা প্রথমে গামছা দিয়ে মুখ বেঁধে পিটিয়ে আহত করে। পরে গলাকেটে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য দুইপায়ের রগ কেটে গর্তের ভেতর রেখে বালু দিয়ে ঢেকে রাখে।
গত বুধবার এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের খবরের ভিত্তিতে পুলিশ মাটি খুঁড়ে লাশ উদ্ধার করে। ওইদিন রাতেই খুনের শিকার আবদুর রাজ্জাকের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলা পর রাতে অভিযান চালিয়ে পুলিশ সন্দেহভাজন আসামি চাঁদপুর জেলার মতলব এলাকার আবদুল হান্নান মিয়ার ছেলে বর্তমানে গজারিয়া ইউনিয়নের গোসাইরচর গ্রামের বিল্লাল মিয়ার বাড়ির ভাড়াটিয়া সন্দেভাজন জান্নাত মিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করলে মুন্সীগঞ্জ আমলী আদালত-৫ এর বিচারক মুক্তা মন্ডলের কাছে খুনের দায় স্বীকার করে কারণ ও জড়িতদের ব্যাপারে বিস্তারিত বর্ণানা দেয়।
পুলিশ কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম জানান, ২৪ ঘন্টারও কম সময়ে আদালতে দেয়া স্বীকারোক্তির মাধ্যমে আবদুর রাজ্জাক হত্যারহস্য উদঘাটন করা সম্ভব হয়েছে।
তদন্ত ও বাকি আসামিদের গ্রেফতারের স্বার্থে তিনি বিস্তারিত জানাতে অপরাগতা প্রকাশ করেন। ওইদিন রাতেই খুনের শিকার আবদুর রাজ্জাকের ভাই বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
এইচএস