সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ওষুধ কেনায় অনিয়ম, দুদকের হস্তক্ষেপ দাবি
Published : Thursday, 13 June, 2019 at 10:55 PM Count : 328
সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কর্তৃক বিপুল পরিমান ওষুধ এমএসআর, সার্জারি যন্ত্রাংশ, ভারী যন্ত্রাংশ ও ফার্ণিচার ক্রয়ে অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডাঃ রাশিদা সুলতানাসহ ৪ সদস্যের তদন্ত টিম এসে তদন্তকার্য সম্পন্ন করেন। তবে সাতক্ষীরাবাসীর দাবী বিষয়টি পূর্ণাঙ্গভাবে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে দুদকের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
বিগত ১৭-১৮ অর্থ বছরের ৩ জুন এসব ওষুধসহ অন্যান্য সামুগ্রী ক্রয় করেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানান, ১২ কোটি ৯০ লাখ টাকার সামুগ্রী ক্রয় করা হয়েছে। এরমধ্যে ওষুধ ক্রয় ছিল ৫৯ লাখ টাকার। অন্যান্য সূত্রের দাবী বিভিন্ন বিভাগে ক্রয়ের পরিমান প্রায় ১৭ কোটি টাকা।
প্রাপ্ত তথ্যে জানাগেছে, বিগত ১৭-১৮ অর্থ বছরে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে ওষুধ, এমএসআর, সার্জারি, ফার্ণিচারসহ বিভিন্ন দ্রবাদি ক্রয় করা হয়। ক্রয়কৃত পণ্যের দাম এবং মান এখনও অদৃশ্য। ফলে কর্তৃপক্ষের কাছে ক্রয় তালিকা চাওয়া হলে তা দিতে বা দেখাতে অস্বীকার করেন অধ্যক্ষ ডাঃ কাজী হাবিবুর রহমান। একই সাথে নৌবাহিনর মাধ্যমে ক্রয় করার বিষয়ে স্বচ্ছতা রয়েছে বলে দাবীও করেন তিনি।
এদিকে এসব পণ্য সরবরাহ করেন উত্তরা ঢাকার বেনি ভোলেন্ট এন্টারপ্রাইজ। এ প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারী স্বত্তাধিকারি শাহিনুর রহমান বিভিন্ন প্রকার কেমিক্যাল, সার্জিক্যাল, সিরিঞ্জ, ক্যাডগার্ড, সুতাসহ এমএসআর এর বিভিন্ন সামুগ্রী তিনি সরবরাহ করে প্রায় দুই কোটি টাকা বিল উত্তোলন করেন।
অপরদিকে পল্লবী ঢাকার অনিক ট্রেডার্স এর স্বত্তাধিকারি মহশীন উদ্দীন বিভিন্ন প্রকার বইপত্র, ফার্ণিচারসহ অন্যান্য সামুগ্রী সরবরাহ করে ৯কোটি ৬৯ লক্ষ ৮২ হাজার টাকার বিল উত্তোলন করেন।
এদিকে মেডিকেল কলেজে ছাত্র ছাত্রী পড়ানোর স্থানে ওষুধ ক্রয় করা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা শুরু হয়। এক পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশে গতকাল খুলনা বিভাগীয় পরিচালক এই তদন্ত করেন। এর আগেও কয়েক দফে অতি গোপনে তদন্ত হয়েছে বলে সূত্র জানায়।
এমজেডআর/এইচএস