নুসরাতকে হত্যার জন্য ছাদে ডেকে নিয়ে যায় পপি
Published : Saturday, 20 April, 2019 at 9:49 AM Count : 499
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামীয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক উম্মে সুলতানা পপি (শম্পা) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুড়িশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শারাফ উদ্দিন আহমেদের আদালতে তাকে হাজির করা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পরিদর্শক ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহ আলম তাকে আদালতে উপস্থিত করেন।
এরপরে সে আদালতের কাছে ১৬৪ ধারায় স্বীকরোক্তি প্রদান করে। স্বীকারোক্তিতে সে বলে, নুসরাত হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলো সে। তার বান্ধবী নিশাতকে কেউ মারছে এটা বলে নুসরাতকে সে ছাদে ডেকে নিয়ে যায়। তারপর অন্য সহযোগীরা মিলে গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে জবানবন্দির ব্যাপারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেষ্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম বিভাগের স্পেশাল পুলিশ সুপার মো. ইকবাল।
তিনি বলেন, কয়েক ঘন্টাব্যাপী এ স্বীকারোক্তিমূলক জবাবনন্দিতে পপি এ হত্যাকাণ্ডের ব্যাপারে চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিয়েছে। তার এ জবানবন্দিতে নতুন কিছু নামও উঠে এসেছে। তবে তদন্তের স্বার্থে তা উল্লেখ করা যাবে না।
গত ১০ এপ্রিল উম্মে সুলতানা পপিকে সোনাগাজী থেকে আটক করা হয়। এরপর ১১ এপ্রিল পপিকে ৫ দিনের রিমান্ড দেয়া হয়। রিমান্ড শেষে সে আদালতের কাছে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ায় এজহারের আসামি নুর উদ্দিন ও শাহাদাত হোসেন শামীম আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে জাবেদ ও তার নাম উল্লেখ করেন। তারা জানায়, জাবেদ ও পপি সরাসরি কিলিং মিশনে অংশগ্রহণ করে। জাবেদ নুসরাতের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় আর পপি হাত-পা চেপে ধরে ওড়না দিয়ে বেধে ফেলে। এ সময় তাদের সঙ্গে আরও তিনজন ছিলো।
নুসরাত হত্যাকাণ্ডের দিন পপিকে পরিচয় গোপন করে শম্পা নামে ডেকেছিল হত্যাকারীরা। নুসরাত মৃত্যু শয্যায় জবানবন্দিতে এ শম্পার নাম উল্লেখ করেছিল।
-এমএটিভি/এমএ