নিউজিল্যান্ডের ইনিংস ঘোষণা
Published : Monday, 11 March, 2019 at 10:49 AM Count : 478
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২২১ রানের লিড নিয়ে থামে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় বাংলাদেশ। দলীয় ৪ রানেই ফেরেন আগের টানা তিন ইনিংস হাফসেঞ্চুরি করা তামিম ইকবাল। ব্যক্তিগত ১০ রানে ফেরেন পুরো সিরিজেই ব্যর্থ হওয়া মুমিনুল হক। দুটি উইকেটই নেন ট্রেন্ট বোল্ট।
বৃষ্টিতে ওয়েলিংটন টেস্টের প্রথম দুই দিন ভেসে গেছে। ফলে দ্বিতীয় টেস্ট কার্যত তিন দিনের ম্যাচে পরিণত হয়েছে। সেই লক্ষ্যে ভালো সংগ্রহ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড। প্রথম ইনিংসে ২২১ রানের লিড নিয়েছে কিউইরা। স্বাভাবিকভাবে জয়ের আশায় ব্যাট ছেড়েছেন তারা।
তৃতীয় দিন শুরু হয়েছে ব্যাট-বলের লড়াই। এদিনও শেষ বিকালে বৃষ্টি ঝরেছে। এর আগে কিউই বোলিং তোপে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২১১ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। জবাবে ২ উইকেটে ৩৮ রান তুলে দিন শেষ করে নিউজিল্যান্ড। ১০ রান নিয়ে কেন উইলিয়ামসন ও ১৮ রান নিয়ে টেইলর পরের দিনের খেলা শুরু করেন।
শুরুতেই দুবার লাইফ পান টেইলর। এরপর দুর্দমনীয় গতিতে ছুটতে থাকেন তিনি। লাগামহীনভাবে ছুটতে থাকেন উইলিয়ামসনও। রানে পিছিয়ে থাকলেও আগে ফিফটি করেন তিনিই। খানিক পর ফিফটি পেয়ে যান টেইলরও। পরে ঝড়ের গতিতে রান তোলেন তারা। বাংলাদেশ বোলারদের ওপর রীতিমতো স্টিম রোলার চালান এ জুটি। ব্যাটকে তলোয়ার বানিয়ে কচুকাটা করেন মোস্তাফিজদের। সাজান নান্দনিক সব স্ট্রোকের পসরা।
সেঞ্চুরির পথে এগিয়ে যাচ্ছিলেন দু'জনই। তবে হঠাৎই খেই হারান উইলিয়ামসন। তাইজুল ইসলামের শিকার হয়ে ফেরেন তিনি। ফেরার আগে ১০৫ বলে ১১ চার ও ১ ছক্কায় ৭৪ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেন অধিনায়ক। সঙ্গী ফিরে গেলেও মন্থর হননি টেইলর। বরং তার তাণ্ডব আরও বেড়েছে। ওয়ানডে মেজাজে রান তুলেছেন। সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন মাত্র ৯৭ বলে। পরের ফিফটি করেছেন মাত্র ৩৬ বলে।
মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ১৮তম টেস্ট সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে আরো আগ্রাসী হয়ে ওঠেন টেইলর। কোনোভাবেই তাকে দমানো যায়নি। অন্যপাশে যথার্থ সঙ্গ পান হেনরি নিকোলসের। তাতে ছোটে স্বাগতিকরা। ধীরে ধীরে লিড বাড়ে তাদের। সেই সঙ্গে বাংলাদেশের বাড়ে হতাশা।
পথিমধ্যে দেড়শ রান স্পর্শ করেন টেইলর। তাতেই ক্ষ্যান্ত হলে তাও একরকম হতো। বরং সময় গড়ানোর সঙ্গে তার ব্যাট আরও ক্ষুরধার হয়ে ওঠে। রানের ফোয়ারা ছুটিয়ে এগিয়ে যান ডাবল সেঞ্চুরির পথে। যোগ্য সমর্থন পান নিকোলসের কাছ থেকে। তিনিও কম যাননি। ক্রিজে এসেই উইলিয়ামসনের জায়গাটা পূরণ করে ফেলেন। মাঝে ফিফটি তুলে চোখ রাঙাতে থাকেন তিনিও।
আগে কাঙ্ক্ষিত তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন নিকোলসই। অবশ্য টেস্ট ক্যারিয়ারে পঞ্চম সেঞ্চুরির পর বেশিক্ষণ স্থায়ী হতে পারেননি। ১২৯ বলে ৯ চারে ১০৭ রানের ঝলমলে ইনিংস খেলে তাইজুল ইসলামের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
পরক্ষণেই ক্যারিয়ারে তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন টেইলর। এরপর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনিও। কাঁটায় ২০০ রান করে মোস্তাফিজুর রহমানের বলির পাঁঠা হয়ে ফেরেন এ ব্যাটিং স্তম্ভ। ২১২ বলে ১৯ চার ও ৪ ছক্কায় এ অনিন্দ্যসুন্দর ইনিংস সাজান টেইলর। তার বিদায়ের পর ঝড় তোলেন কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও বিজে ওয়াটলিং। তবে সেটা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। আবু জায়েদের তৃতীয় শিকার হয়ে ওয়াটলিং ফিরলে ইনিংস ঘোষণা করে নিউজিল্যান্ড। গ্র্যান্ডহোম ২০ রানে অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের হয়ে আবু জায়েদ নেন ২ উইকেট।
-এমএ