প্রেশার কুকার কেনার আগে যা দেখবেন
Published : Saturday, 2 March, 2019 at 8:12 AM Count : 479
প্রেশার কুকারের আকার: প্রেশার
কুকার পূর্ণ করে খাবার রান্না করা হয় না। এক তৃতীয়াংশ ভর্তি করেই খাবার
রান্না করা হয়। তাই প্রতিদিন কী পরিমাণ রান্না করতে হয়, পরিবারের সদস্য
কতজন- এসব বিষয় মাথায় রেখে প্রেশার কুকার বড় না মাঝারি কিনবেন সেটা বিবেচনা
করা উচিত।
ভার ও পুরুত্ব: প্রেশার
কুকার মোটা দেখাতে সাধারণত ভারী হাতল ব্যবহার করা হয়। প্রেশার কুকার
কেনার জন্য অবশ্যই মোটা অ্যালুমিনিয়াম বা পুরু স্টিলের তৈরি কিনা তা দেখে
নিন। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিদিন ব্যবহারের জন্য ৩.২৫ মি.মি. পুরুত্বের
প্রেশার কুকার কেনা উচিত।
প্রেশার নির্দেশক: যখন
নতুন প্রেশার কুকার কিনতে যাবেন তখন খেয়াল করুন তাতে ‘প্রেশার ইন্ডিকেইটর’
আছে কিনা। না থাকলেও প্রেশার মার্কার বা ‘পপ-আপ ইন্ডিকেইটর’ থাকার কথা।
আধুনিক প্রেশার কুকারে এরকম সুবিধা থাকে যা প্রেশার পরিমাপ করতে সাহায্য
করে। পাশাপাশি প্রেশার দ্রুত কমানোর জন্য বোতাম থাকাও আবশ্যক।
শিস ধ্বনি: প্রেশার
কুকারের ভাপ উপর দিয়ে বের হওয়ার সময় যে ছিপিটা উপরে উঠে শিস দেয়, সেটাই
স্প্রিং ভ্যাল্ভ। এই শিস ধ্বনি রান্নাঘরের জন্য মধুর হলেও রান্নার গন্ধ ও
আওয়াজ বাসায় আসা অতিথির জন্য বিরক্তিকর হতে পারে। এই সমস্যা সমাধানের জন্য
নতুন প্রেশার কুকারগুলোতে রয়েছে প্রেশার নিয়ন্ত্রণের কৌশল। যা শিসের শব্দ
কমায় ও কম শক্তি খরচ করে।
প্রেশার নিয়ন্ত্রক: নতুন
মডেলের প্রেশার কুকারে বাষ্পের চাপ নিয়ন্ত্রণের পদ্ধতি থাকে। তাই যে খাবার
তৈরিতে বেশি বাষ্পের চাপ লাগে যেমন- মটরজাতীয় খাবার, এগুলোর জন্য বেশি
বাষ্পের চাপ দিতে পারেন। আবার কম প্রেশারে রান্নার জন্য অল্প মাত্রার
প্রেশারে রান্না করা যায়।
এইচএস